যারা আমাদের বন্ধুদের উপর হামলা করবে, আমাদের অর্থায়নে শান্তিরক্ষী দলে তাদের আমরা নিবে কেনো: যুক্তরাষ্ট্র

১৪ ডিসেম্বর রাজধানীতে ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেনের উপর আক্রমনে দারুণ ক্ষেপেছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা জাতিসংঘকে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের ২৮% ব্যয় যোগান দেয়। কাজেই সেই অর্থায়নে চলা শান্তিরক্ষী কার্যক্রমে মানবাধিকার হরণকারী কোনো বাহিনীর নিয়োগলাভের সুযোগ থাকা উচিত নয়। এরপরেই জাতিসংঘ থেকে বাংলাদেশ সরকারকে শক্ত চাপ দেয়া হয়।
ঢাকায় নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার দু’দিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে বিল পাশ করা হয়েছে, তার অনুলিপি বাংলাদেশ সরকারকে অবহিত করা হয়েছে। বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে যুক্তরাষ্ট্র সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে যাবে, এমনকি নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে, শান্তিরক্ষী টিমে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সংকটে পড়তে পারে তা জানানো হয়েছে বাংলাদেশ সরকারকে। এমন খবর জানাজানি হলে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্টদূত শেখ হাসিনাকে উদ্ধার করার চেষ্টায় ছুটোছুটি করছেন।
তবে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে বাংলাদেশের তিন বাহিনী প্রধান রাষ্ট্রদূত মিলারের সাথে অচিরেই বৈঠকে বসছেন। এনিয়ে সরকার কিছুটা গরিমসি করলেও ঘটনা যা ঘটার, তা ঘটবেই।
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রবল চাপ অব্যাহত। ব্যর্থ হলে ২০০৭ সালের পূনরাবৃত্তি ঘটবে। প্রস্ততি চলছে।